Our website uses necessary cookies to enable basic functions and optional cookies to help us to enhance your user experience. Learn more about our cookie policy by clicking "Learn More".
Accept All Only Necessary Cookies
Gouri Kunja icon

2.0 by Logic N Mind


Jan 10, 2020

About Gouri Kunja

বিভূতিভূষন – গৌরীকুঞ্জ – গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতি

বিভূতিভূষন – গৌরীকুঞ্জ – গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতি

বিশ্ব বাঙালীর হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ-এর সাথে সাথে যাঁর নাম উচ্চারিত হয়, – তিনি বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় . বর্তমান গবেষনায় দেখা গেছে প্রকৃতি প্রেমিক সাহিত্যিক হিসাবে সারা বিশ্বে বিভূতিবাবুর নাম প্রকৃতি প্রেমিক কবি ওয়ার্ডওয়ার্থের সাথে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয় .

বিভূতিভূষনের উপন্যাসে দেখা যায় মধ্যবিত্ত বাঙালী, গ্রামীন বাঙালী এবং নাগরিক বাঙালীর সহাবস্থান . আবার বিহার, ঝারখন্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম, বনজঙ্গল, সেখানের অবাঙ্গালী মানুষ তাদের সহজ – সরল জীবনযাত্রা যা তাঁকে প্রভাবিত করেছিল উপন্যাসের পাতায় পাতায় তুলে ধরেছেন . তাঁর লেখনির অদ্ভূত বিশেষত্ব হল প্রকৃতি ও মানুষকে যেন আলাদা করা যায় না .

সুবর্ণরেখার তীরে অবস্থিত ঘাটশিলা দলমা রেঞ্জের পাহাড় ও জঙ্গল ঘেরা একটি অপূর্ব সুন্দর ছোট্ট শহর, পাহাড়, ঝর্না, জঙ্গল, নদী, ছোট ছোট টিলা, নিয়ে গড়ে ওঠা ঘাটশিলায় – বিভূতিভূষন ১৯৩৮ সালে একটি বাড়ী কিনেছিলেন . কথিত আছে শ্রী অশোক গুপ্ত, বিভূতিবাবুর কাছে পাঁচশত টাকা ধার করেছিলেন . পরবর্তী সময়ে তিনি ঐ টাকার বদলে বিভূতিবাবুকে বাড়ীটি দিয়েছেন . এই বাড়ীটিই গৌরীকুঞ্জ . প্রথমা স্ত্রী গৌরীদেবীর নামেই বিভূতিভূষন বাড়ীটির নামকরন করেন . ঘাটশিলার ডাহিগোড়ায় অবস্হিত গরিকুঞ্জ কেনার পিছনে সবথেকে বড় কারন ছিল . বিভূতিবাবু চেয়েছিলেন ডাক্তার ভাই নটুবিহারি ঐ বাড়ীতে থেকে চিকিত্সার কাজকর্ম দেখবেন . বিভূতিবাবু মাঝে মাঝেই চলে আসতেন তাঁর প্রিয় গৌরীকুঞ্জে . বাড়ীতে বসত সাহিত্যের আড্ডা বা আড্ডার সাহিত্য . সেই সময়ের প্রথিতযশা সাহিত্যিকরা আসতেন গৌরীকুঞ্জে . তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে – নিরদচন্দ্র চৌধুরী, সজনীকান্ত দাস, গোপাল হালদার, নীরদরঞ্জন দাসগুপ্ত, প্রমোদরঞ্জন দাসগুপ্ত, রাধারমন মিত্র, সুশীল কুমার দে এবং আরও অনেকে আসতেন . বাংলার সাহিত্যিকরা ছাড়াও বিভূতিবাবুর বিশেষ একজন বিহারীবন্ধু ছিলেন . যাঁর সাহিত্য রচনায় বিভূতিবাবু মুগ্ধ হয়েছিলেন . ‘Round The World’ –এর লেখক শ্রী জে.এন.সিনহা মহাশয়ের সাথে ১৯৩৯ সালে ঘাটশিলায় পরিচয় হয় বিভূতিবাবুর . পরবর্তী ক্ষেত্রে এই পরিচয় গভীর অন্তরঙ্গতায় পরিনত হয় . সিনহাজীর সাথে কথা বলে বিভূতিবাবুর নিসঙ্গতা দুর হতো . সিনহাজী চিফ কানজারভেটর অব ফরেস্ট ছিলেন . তাই পেশার জন্য তাঁকে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে হতো .

তাঁর পেশা এবং বিভূতিবাবুর নেশা এই দুইয়ে মিলে বাংলা সাহিত্যকে অরণ্যসৌন্দর্যের চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছে . সাক্ষী গৌরীকুঞ্জ, ঘাটশিলা, রাখামাইল, চাইবাসা, বামিয়াবুরুর জঙ্গলের গল্প তাঁর অরণ্য বর্ণনায় ফিরে ফিরে এসেছে . ঝাড়গ্রাম, বাহরাগোড়া, চাকুলিয়া, নরসিংগড়ের কাছাকাছি লিপুকোচা ক্যাম্প, সবজায়গাতেই সিনহাজীকে সাথে করে কখনও একা – কখনও স্ত্রী কল্যানীকে নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন প্রকৃতি প্রেমীক বিভূতিভূষন . আবার ফিরে এসেছেন গৌরীকুঞ্জে . পাহাড়, ঝর্না, নদীর সৌন্দর্য লিপিবদ্ধ করেছেন . শ্রী সিনহা তাঁর “পথের পাঁচালি” কে লেখক বইটিতে গৌরীকুঞ্জ সম্বন্ধে লিখেছেন, ঘাত্শিলায় বিভূতিবাবু তাঁর গৌরীকুঞ্জ বাড়ীতেই থাকতেন . ঘাটশিলার পশ্চিমদিকে মৌভান্ডারের কাছে . গৌরীকুঞ্জ ও মৌভান্ডারের মাঝখানে ছোট এক টুকরো শালবন ছিল . তামার কারখানাটিকে চোখের আড়াল করে রাখত . জায়গাটির স্থানীয় নাম দাহিগোড়া, দক্ষিণ পশ্চিম কোনে সুদুর থেকে সিদ্ধেশ্বর পাহাড় তাকিয়ে থাকে . গৌরীকুঞ্জের পারিপার্শ্বিক নিস্তবতা অতল ও অতুলনীয় ছিল . বাড়ীটি, ঘাটশিলা ও মৌভান্ডারের রাস্তা থেকে একটু ভিতরে . যখনই আমি মোটরে গলিটির ভিতর মোড় ঘুরে ঢুকতাম মনে হত বাহির জগতের জন-কোলাহলের মলিনতা সমস্ত ধুয়ে মুছে গেল . গ্রীষ্মের মধ্যান্য়ে মনে হতো গভীর রাত্রির নিস্তব্ধতা .”

এই বইটির সুত্র ধরেই আমরা জানতে পারি, বিভূতিবাবু নিজের ঘরে একটি তাকে অনেক বই রাখতেন . তিনি একটি তক্তপোশের উপর বসে লেখাপড়া করতেন . অন্যান্য সাহিত্যিকেরা ঐ তক্তপোশেরই একপাশে তাঁর সামনে বসে কথাবার্তা বলতেন . মনে হত পুরাকালের মুনি-ঋষিদের তাপভূমিতে কোন ঋষি শিষ্যদের শিক্ষা দিচ্ছেন . সাহিত্যিক ও অতিথিদের ভিড় গৌরীকুঞ্জে প্রায়ই লেগে থাকত . সকলের প্রিয় কল্যানী বৌদি তাদের চা – খাবার খাওয়াতেন . ঘাটশিলার মুকুল চক্রবর্তী, দ্বিজেন মল্লিক প্রভৃতি সাহিত্য প্রেমী মানুষ বিভূতিভূষনের অত্যন্ত কাছের হয়ে উঠেছিলেন . এছাড়াও কলকাতার শ্রী প্রমথনাথ বিশী বিভূতিভূষনের পড়াতেই এসে উঠতেন ও থাকতেন . গৌরীকুঞ্জের ঘরে বসেই বহু সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্মের গেট অল্প তৈরী হত, তাঁদের নানা সমস্যার সমাধানও করে দিতেন বিভূতিবাবু .

গৌরীকুঞ্জ সেই সময়ের বাংলা সাহিত্যের তীর্থক্ষেত্র ছিল . ১৯৫০ সালের ১লা নভেম্বর গৌরীকুঞ্জের ঘরেই দেহত্যাগ করেন বিভূতিবাবু . দাদার মৃত্যুর মাত্র ৮ দিনের মাথায় আত্মহত্মা করেন ভাই নটুবিহারী সুবর্ণরেখায় .

What's New in the Latest Version 2.0

Last updated on Jan 10, 2020

Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!

Translation Loading...

Additional APP Information

Latest Version

Request Gouri Kunja Update 2.0

Uploaded by

Võ Trần Minh

Requires Android

Android 4.1+

Available on

Get Gouri Kunja on Google Play

Show More

Gouri Kunja Screenshots

Comment Loading...
Languages
Subscribe to APKPure
Be the first to get access to the early release, news, and guides of the best Android games and apps.
No thanks
Sign Up
Subscribed Successfully!
You're now subscribed to APKPure.
Subscribe to APKPure
Be the first to get access to the early release, news, and guides of the best Android games and apps.
No thanks
Sign Up
Success!
You're now subscribed to our newsletter.