লাল-সবুজ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা

তারুণ্যের উচ্ছাসে পুরণো শৃঙ্খল ভাঙবে লাল সবুজ

শ্রদ্ধেয় সহকর্মীগণ ,

সবাইকে সালাম, নমস্কার ও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানাই। ২০২২ সালের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আসন্ন নির্বাচনে অন্যান্য প্যানেলের মতোই ‘লাল-সবুজ’ও একটি প্যানেল। লাল-সবুজ একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি প্যানেল। আমরা প্রবীণ ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে তাদের পাশে থেকে প্রবীণদের দিক নির্দেশনায় শিক্ষা ক্যাডারের সামগ্রিক স্বার্থে সকল অশুভ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্যগণের চাকরি ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তি, হতাশা, আর ক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণে বিগত উদ্যোগগুলো তেমন শক্তিশালী ছিলো না। সীমাবদ্ধ শৃঙ্খলে থমকে গেছে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সাফল্য।

তবুও আমরা আমাদের অগ্রজদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমরা বয়সে এবং চাকুরিগত অবস্থানে তরুণ। আমরা চাই তারুণ্যের উচ্ছাসে, সাহসিকতায় এগিয়ে চলুক শিক্ষা ক্যাডার, তবে প্রবীণদের বাদ দিয়ে নয়।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যগণ সাহসী নেতৃত্বের সংকটে সীমিত গণ্ডিতে শৃংখলিত। বিগত নেতৃত্ব যেখানে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সেখানেই লাল সবুজের যাত্রা শুরু। ভোটের মাঠে নিজস্ব দর্শনের প্রতিফলন ঘটবে, আপন চিন্তায় এগিয়ে আসবে যোগ্য নেতৃত্ব কিন্তু ক্যাডারের স্বার্থে আমরা আর কোন বিভাজন এবং স্নায়ুযুদ্ধ দেখতে চাই না। আমাদের লাল সবুজ প্যানেলে আসন্ন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ উপরের দিকের পদসমূহে কোন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়নি। গণতান্ত্রিকভাবে যে কোন প্যানেল থেকে নির্বাচিত সভাপতি কিংবা মহাসচিব আমাদের পথ দেখাবেন। আমরা লালসবুজ তারুণ্য পাশে থাকবো সর্বশক্তি নিয়ে।

আমরা মনে করি- এ পদসমূহে ক্যাডারের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ সদস্যরাই আসা উচিত। এ-কারণে আমরা এ-দুটি পদে কাউকে মনোনয়ন দেই নি। যারাই এ-পদসমূহে নির্বাচনে জয়ী হবেন আমরাও জয়লাভ করলে তাদের সাথেই কাজ করবো। লাল-সবুজের তরুণেরা ক্যাডারের প্রয়োজনে যেকোনো শ্রম দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবো। আপনাদের পরামর্শ ও মূল্যবান ভোটে লাল-সবুজ এগিয়ে যাবে। শিক্ষা ক্যাডারকে মর্যাদাপূর্ণ একটি ক্যাডারে উপনীত করতে লাল-সবুজের তরুণ তুর্কীরা সর্বদা লড়াই চালিয়ে যাবে। সবাইকে লাল-সবুজের শুভেচ্ছা ।

Lal Sobuj BCS Sadharon Sikkha